বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের একটি লিফট ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি লিফটটি ছিঁড়ে পড়েনি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্লাইডিং ওয়ে থেকে সরে গিয়ে দরজা ভেঙেছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে লিফটটি নিচ তালা থেকে সাত তলায় ওঠার সময় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুটি লিফট চালু রয়েছে। তবে প্রায় সময়ই লিফট দুটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অচল হয়ে থাকে। শুক্রবার বিকেলে কেউ একজন সাত তলা থেকে নিচে নামতে একটি লিফট কল করেন। পরে লিফটটি উপরে ওঠার সময় ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত গেলে হঠাৎ ছিঁড়ে পঞ্চম তলায় আটকে যায়। তবে এসময় লিফটে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানতে চাইলে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া আকন বলেন, লিফটি ছিঁড়ে পড়েনি, স্লাইডিং ওয়ে থেকে সরে গিয়ে দরজা ভেঙে গেছে। যে সমস্যা হয়েছে তা আজকের মধ্যেই ঠিক করে দেওয়া যেত। তবে শুক্রবার হওয়ায় আজ লিফটটি ঠক করার কোনো লোক নেই। শনিবার সকালে আমরা ওই লিফট ঠিক করে দেব।
বরগুনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, আজ শুক্রবার হওয়ায় তেমন বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম পাশাপাশি দুইটা লিফটই চালু ছিল। একটা লিফট হঠাৎ ৬তলা থেকে দরজা ভেঙে চলে আসে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম নজমুল আহসান বলেন, হঠাৎ দুটি লিফটের একটির দরজা ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। যান্ত্রিক বিষয় যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। তবে ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই লিফটের তদারকির দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগকে আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি। দুটি লিফটের মধ্যে একটির সমস্যা হলেও অপরটি চালু রয়েছে।